মাটির কবরে শুয়ে আছে আমার প্রিয় বাবা
…….✍ আব্দুল মালেক জিহাদী
আজ থেকে আরো একুশ বছর আগে,
আমায় কাঁধে তুলে
তুমি-ই তো বলতে।
যেদিন আমি হব বড়
সেদিন তুমি হবে বুড়ো।
তখন তুমি খুব আগ্রহ নিয়ে
দরদ ভরা কন্ঠে বলেছিলে,
তোমায় নিতে কাঁধে তুলে।
বাবা,
সত্যিই সেদিন আমি বুঝিনি!
তোমার প্রাণের সেই আকুল
চাওয়ার মানে ।
যেদিন তুমি,
আমায় ছেড়ে
পাড়ি জমালে কোন এক
ঠিকানাহীন দূর অজানায়
শেষ নিঃশ্বাসটুকু ত্যাগ করে।
ঠিক সেদিন’ই আমি বুঝতে পেরেছি
তোমার সেই চাওয়ার মানে।
কিন্তু বাবা!
তোমার কাঁধে চড়া আর
আমার কাঁধে চড়ার মাঝে
আমি এক আকাশ মাটি পার্থক্য
খুঁজে পেয়েছি।
আমি তোমার কাঁধে চড়া অবস্থায়
তোমাকে কতশত প্রশ্ন করেছি।
কিন্তু তুমি!
তুমি আজ আমার কাঁধে চড়ছো
অথচ কোন প্রশ্নই করছো না।
খুব কষ্ট হচ্ছে বাবা!
তুমি ভেবো না তোমায় কাঁধে তুলে
আমার কষ্ট হচ্ছে।
না বাবা না,
তুমি এমনটি কখনও ভেবো না,
তোমাকে সারাজীবন কাঁধে তুলে
চড়ালেও
তোমার মালেকের এতটুকুও
কষ্ট হবে না।
কষ্ট হচ্ছে আজ,
তুমি আমার কাঁধে চড়ছো
কিন্তু কোন প্রশ্ন করছো না,
সেই আমার ছোট্ট বেলার মতন ।
কেন বাবা কেন !
আমিতো সেদিন তোমার কাঁধে চড়ে
তোমাকে প্রশ্ন করতে করতে
পাগল করেছিলাম ।
বাবা, বাবা, ও বাবা
তোমার দুটি পায়ে পড়ি
দয়া করে আজ আমায় তুমি
একটি প্রশ্ন করো ।
অন্ততঃ এ প্রশ্নটা তো করতে পারো ।
মালেক তুই-কি আমায় কাঁধে তুলে
ভয় পাচ্ছিস !
তা, না হলে তোর সাথে আজ
এতলোক কেন !
মালেক,
খোকা তুই আমায় কোথায় নিয়ে
যাচ্ছিস ।
ওহ্ ,
আমি বুঝেছি ,
তুমি হয়ত
আমার উপর অভিমান করে আছ।
তাই কিছুই বলছো না ।
তাই আমিও তোমার সাথে অভিমান
করেই বলছি ,
বাবা তুমি আর ডাকলেও
তোমার মালেক কখনো
তোমার কাঁধে চড়বেনা ।
লিখেছেন নাফনদী শিল্পীগুষ্ঠির সহ-পরিচালক,প্রতিভাবান ইসলামী সংগীত শিল্পী ও যাকে নিয়ে কবিতা লিখা তার পিতা মরহুম হাজী আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল মালেক জিহাদী।ওনি একজন পরহেজগার,নীতিবান সাদা মনের মানুষ ছিলেন।সম্পর্কে আমার আপন জেটাতো ভাই।আমি ব্যক্তিগতভাবে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।তিনি একজন সম্ভাবনাময়ী ইসলামিক দরদী ও ধরাজ কন্ঠের অধিকারী সুপুত্র রেখে গেছেন,আশা করছি আব্দুল মালেক জিহাদীর জীবনের সকল ভালো কর্ম তার পিতার কবরে মাগফেরাতের এবং নাজাতের ওসিলা হবে।আমি মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।।
মিজানুর রহমান মিজান। ডেইলি টেকনাফ ডটকম।