সাইফুল ইসলাম
বিদেশ ফেরৎ সম্মানিত
ভাই-বোন,চাচা-চাচী ও দাদা-দাদীরা আপনারা কী জানেন আপনাদের ইচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আজ আমরা শংকিত ও আতংকিত! আপনারা কী চান আপনি নিজে,আপনার পরিবার-পরিজন,পাড়া-প্রতিবেশি ও গোটা জাতি আপনার কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর কবলে ঢলে পড়ুক? যদি নিজেকে,নিজের পরিবারকে ভালোবাসেন,দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসেন তাহলে আর কাল বিলম্ব না করে উপজেলা প্রশাসনকে নিজে নিজে অভিহিত করুন।
যারা চলতি মাসে বিদেশ থেকে এসেছেন তারা আপনার এলাকার দারোয়ান,গ্রাম পুলিশ, মেম্বার,চেয়ারম্যান অথবা গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনকে জানান। ইতিমধ্যে আপনারা অনেক দেরি করে ফেলেছেন। যার খেসারত কক্সবাজার সদর হাসপাতালের চৌদ্দজন ডাক্তারকে দিতে হচ্ছে। আপনারদের মতো একজন বিদেশ ফেরত করোনা আক্রান্ত রোগী নিজের তথ্য গোপন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।আর যে সমস্ত ডাক্তারগুলো মানবিক কারণে তাঁর চিকিৎসা করেছেন আজ তাঁরা কোয়ারান্টাইনে। যদি তিনি তাঁর প্রকৃত ঘটনা ডাক্তারদের খুলে বলতেন তাহলে এই অবস্হার অবতারনা হতে না। আর এই অবস্হায় যদি চৌদ্দজন ডাক্তার হোম কোয়ারান্টাইনে চলে যায় তাহলে কাদের জন্য ক্ষতি হবে আপনারা বেশ করে জানেন। এমনিতে আমাদের দেশে ডাক্তার সংকট।
সুতরাং আপনারা প্রশাসনকে প্রকৃত তথ্য জানিয়ে হোম কোয়ারান্টাইন অথবা সরকারি তত্বাবধানে গিয়ে যথাযথ চিকিৎসার আওতায় এসে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার পথ খুঁজুন।কারণ করোনা এমন একটি ছোঁয়াচে রোগ যার ঔষধ এখনো তৈরি হয়নি। যদি আমি, আমরা একটু সচেতন হয় তাহলে এই মহামারী বিস্তার রোধে আমরা সফল হব। তবে ইচ্ছাকৃত ভুল কখনো মার্জনীয় নয়।
লেখকঃ সাইফুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক।