টেকনাফ মডেল থানার চৌকস অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশের নেতৃত্বে টেকনাফের দুর্গম পাহাড়ে জনতা-পুলিশের টানা ৩ দিনের অভিযান পরিচালনা করা হয়।এতে রোহিঙ্গা দুর্ধর্ষ হাকিম ডাকাতের ‘রংমহল’ আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ।
গত ৩মে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের স্থানীয় কৃষক আক্তার উল্লাহ’সহ ৩জনকে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবীর প্রেক্ষিতে জনগনকে দেয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ধর্ষণ,হত্যাসহ নানা অপরাধের অভিযোগের ভিত্তিতে ডাকাত হাকিমের খোঁজে এ অভিযান পরিচালনা করেন পুলিশ।
সুত্রে জানা যায়,ওসি প্রদীপ কুমার দাশের নেতৃত্বে পুলিশের কয়েকটি ইউনিট আলাদাভাবে এ অভিযান পরিচালনা করেন।এই অভিযানে পুলিশ ছাড়াও স্থানীয় যুবকরা পৃথকভাবে অংশগ্রহন করেন।কিন্তু ডাকাত হাকিমের আঁখড়ায় কারও দেখা মেলেনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে জানা যায়- স্থানীয় আক্তার উল্লাহ নামে এক কৃষককে সম্প্রতি অপহরণের পর গুলি করে হত্যা করেছে রোহিঙ্গা ডাকাতরা এমন অভিযোগ করেছে তার পরিবার। একই এলাকার শাহ মোহাম্মদ শাহেদ,মোহাম্মদ ইদ্রিস নামে আরও দুই কৃষককে তুলে নিয়ে যায় এই ডাকতেরা।
কৃষক আক্তার উল্লাহ স্থানীয় মিনাবাজার এলাকার মৌলভী আবুল কাছিমের ছেলে।
জানা যায়- বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তাকে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করে, মুক্তিপন দিতে অসীকৃতি জানালে রোহিঙ্গা ডাকাতরা তাকে হত্যা করে এমন অভিযোগ তার পরিবার ও স্থানীয়দের।
এদিকে ডাকাতদলের দ্বারা অপহরণের ঘটনার খবর স্থানীয় পুলিশ অবগত হওয়ার পর থেকে তাদের উদ্ধারে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।
গত রবিবার ৩ মে অভিযান শুরুর ৩ দিন পর গতকাল ৫মে সকালে পাহাড় থেকে নেমে আসে পুলিশের ইউনিট। অপহ্নতদের জীবিত ফিরিয়ে আনার জন্য তাদের অভিযান চলমান থকবে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।