শাহজাহান চৌধুরী শাহীন/নাজমুল সাঈদ সোহেল ।।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া ফাসিয়াখালী এলাকায় একটি যাত্রীবাহি বাসে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
ডাকাতের এলোপাতাড়ি গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ১৫ জন যাত্রী। বাসটি যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার আসার পথে এ ঘটনা ঘটেছে। আহতদের মধ্যে ৬ জনকে রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপর ১১ জনকে
প্রথম কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুইজন যাত্রীর অবস্থা আশংকাজনক।
যাত্রীরা জানান, সংঘবদ্ধ সশস্ত্র ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা, অন্তত ২০টি মোবাইল ও চার নারী যাত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কার লুট করে ২০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল।
২৭ নভেম্বর (শুক্রবার) ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে মহাসড়কের চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী পাহাড়ি ঢালা থেকে শুরু করে চকরিয়ার সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন খুটাখালীর ফুলছড়ি নতুন অফিস বাজার পর্যন্ত এই ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হয়। বাসটিতে ৭জন ডাকাত ছাড়া ৩৭ জন যাত্রী ছিলেন। এসব যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন কেউ ব্যবসায়ী, আবার কেউ পর্যটক ও চাকরিজীবী। ডাকাতের গুলিতে আহতরা হলেন-কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের পানছড়ি গ্রামের এজাহার আহমদের ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন (২৭)। একটি গুলি সরাসরি তার পেটে বিদ্ধ হয়। হাতে গুলিবিদ্ধ হয় রাকিব উদ্দিন (৩০) নামের আরেক যাত্রীর। অপরদিকে মারধরে আহত অন্য যাত্রীদের পরিচয় তাৎক্ষণিক পাওয়া
যায়নি।
এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় একটি মামলা রুজু করেছেন চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লাহ এলাকার মনু খানের ছেলে বিল্লাল হোসেন জনি (২৬)। তিনি দুর্ধর্ষ এই ডাকাতির ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং ওই বাসের ভুক্তভোগী যাত্রী। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নুরেখোদা সিদ্দিকী জানান, কী পরিমাণ টাকা, মোবাইল, অলঙ্কার লুট করা হয়েছে তা বিস্তারিত তদন্তের পর জানা যাবে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসের চালক ও হেলফারসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
চকরিয়ায় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ জুবাইর জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে সৌদিয়া পরিবহনের একটি বাস চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার আসছিল। চট্টগ্রামের নতুন সেঁতু এলাকা থেকে ওই বাসে যাত্রীবেশে ওঠা ডাকাতরা চকরিয়া ফাসিয়াখালী এলাকায় পৌছার পর বাসের ভিতর এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নেয়।
ওসি আরো জানান, ডাকাতদের ধরতে চকরিয়া থানার একাধিক টীম মাঠে নেমেছে।