নিজস্ব প্রতিবেদক।
দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পরিবেশ, প্রতিবেশ ও বিরল জীববৈচিত্র পুনরুদ্ধারসহ দ্বীপটিকে টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে বেশ কিছু কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছিল পরিবেশ অধিদপ্তর।
সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে আজ রবিবার সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত দ্বীপে ধর্মঘট পালন করেছে।
এসময় তারা দ্বীপে পর্যটকবাহী নৌযান ভিড়তে বাঁধা, সবধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ও দোকানপাট সহ সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখেন। পরে এক সভায় তারা ছেড়াদিয়া দ্বীপ ভ্রমণ বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল সহ পরিবেশ অধিদপ্তরের গৃহিত বিভিন্ন কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানান। এ প্রতিবাদ সমাবেশে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন নুর আহমদসহ পরিষদের বেশ কয়েকজন সদস্য উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিয়েছেন। ধর্মঘট ও প্রতিবাদ সমাবেশে অনেকেই ছেড়াদিয়া দ্বীপ যাতায়ত নিষিদ্ধের ঘোর বিরোধীতা করে বক্তব্য দেন।
নিষিদ্ধ কার্যক্রমের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণকৃত ছেড়াদিয়া দ্বীপ ভ্রমণ, স্পীডবোট, ট্রলার বা অন্য কোন জলযানের যাতায়ত ও নোঙ্গর না করা, দ্বীপের চতুর্দিকে নৌ ভ্রমণ বন্ধ, সামুদ্রিক কাছিমের ডিম পাড়ার স্থানে চলাফেরাসহ রাতের বেলায় সৈকতে আতশবাজি, গান বাজনা, বারবি কিউ পার্টি বন্ধ এবং প্রবাল, শামুক, ঝিনুক, কেয়াফল ও বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণী ক্রয় বিক্রয় বন্ধ।
এ ব্যাপারে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, আমরা সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করছিনা, দ্বীপের মানুষের আয় রোজগারের কথা বিবেচনা করে সরকারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সেন্টমার্টিন থেকে বা টেকনাফ থেকে ছেড়াদিয়া দ্বীপে যাতায়তে কোন স্পীডবোট, ট্রলার, কান্ট্রিবোট বা যেকোন ধরনের নৌযানের অনুমতি নেই। যারা সেখানে পর্যটকদের বহন করে নিয়ে যাচ্ছেন তারা সম্পূর্ণ বেআইনী কাজ করছেন। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।