মরিয়া প্রমাণ করিতে হইল ,,,,,,,,,,,,,,,,
জসীমের মৃত্যু শোক আজ শক্তি ও সাহস। স্যালুট তাঁকে।
ইমাউল হক পিপিএম।
এখন বড় দুঃসময়!বুঝল না তো কেউ। অন্য সময় গানটা শোনে ।এখন শোনে না।বাইরে পরী আছে ,পরীর কাছে মধু আছে ,মধুর মধ্যে কদুর রস আছে ,এই রসে জ্যোতি আছে,সেটা নিতে পারলে মতি পাবে,মতি ধরলে গতি পাবে।এই গতির লোভে ,আশায় আশায় মুরগির গামবোরো র মতই মরছে ।
কেউ শুনল না ।আর সে জন্যই কাজ করতে হল জসিম দের ।কোতোয়াল সদস্য জসিম দের যত দোষ নন্দ ঘোষ। এজন্য ই তো মানুষদের ঘরে রাখা,খাবার দেওয়া, পালানো থেকে ধরে আনা,ডাক্তার দেখানো, মরে গেলে জানাযা, কবর সব দায়িত্ব।
বিদেশ থেকে রোগ না আনলে এত প্রাণহানি হত না।ওয়ারী থানার পুলিশ সদস্য বীর জসিম কে প্রান দিতে হত না।
নাম তো হল।পুলিশ তো পিছু হটে নাই।নামী দামী বৈদ্য দের মত গদ্য নিয়ে কম্বলে জম্বল করে মরার ভয়ে অন্দরে যায় নাই।
বাপ দাদা,আর আপন রক্ত মৃত্যু র সময় চোখ না শুধু নাক ও বন্ধ করে থাকে, সেখানে জসিম রা বাপ দাদা তো দুরে থাক তার আপনের ও আপনজনদের কাজ করছে।
পুলিশের দুইশ না চারশ বছরের ইতিহাস কে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে দিল এই জসীম দের আত্মহতি।শুধু বাংলাদেশ কেন পৃথিবীর পুলিশ গর্ব করছে “পুলিশ “নিয়ে। এর চেয়ে আর কি?
জসীম দের মরেই প্রমান করতে হয় পুলিশ জনগনের বন্ধু।জানান দিতে হয় দুইটি মেয়ে আর একটি সন্তান।অনুকম্পা নিতে হয় তার স্ত্রী বিধবা ।তাদের তো আল্লাহ্ আছেই !
শুধু কয়েক জন মানুষের রাস্তায় ঘোরাঘুরির মূল্য জসিম দের এত কিছু দিয়ে দিতে হল।অবশ্যই এই মরন বীরত্বে ভরা শহীদের স্হানে ।শক্তি ও সাহস যোগাবে আমাদের। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। স্যালুট পুলিশ কনেস্টবল জসিম কে।