নুরুল হোসাইন ::::::
করোনা ভাইরাস আতঙ্কের পর কক্সবাজার জেলা লকডাউন করেছেন জেলা প্রশাসন । তবে এলাকার মানুষকে সচেতন করতে কাজ করা এমন মাঠ পর্যায়ের ২৪ জন সংবাদকর্মী ও ৬জন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ৩০জনের বাড়িতে ব্যক্তিগত (সম্মানী ভাতা)থেকে ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দিলেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (সাইফ)।
গতকাল বুধবার বিকেল তিনটার দিকে ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে । প্রতিটি পরিবারকে ২ কেজি চনা, ২ কেজি আলু, ১কেজি চিনি, ২ কেজি মুড়ি, ১ কেজি পেঁয়াজ, ১ কেজি খেজুর, ১ লিটার তেল, একটি দুধের প্যাকেট ও একটি ট্যাঙ্ক দেওয়া হয়েছে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, করোনাভাইরাস আতঙ্কের পর থেকে উপজেলার কিছু সংবাদকর্মী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সেরকম ২৪জন সংবাদকর্মী ও একটি
(বেহাল দশা ও বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় জর্জরিত ) বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬জন শিক্ষককে ইফতার সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক প্রথম আলো টেকনাফ প্রতিনিধি গিয়াস উদ্দিন বলেন, চিকিৎসক, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি এলাকার জাতীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয় গণমাধ্যমের কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। এলাকার মানুষকে সঠিক সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সংবাদকর্মীরা প্রতিনিয়ত মাঠ পর্যায় থেকে খবর সংগ্রহ করে প্রচার করছেন। আমার জানামতে এই প্রথম বাংলাদেশের যে কোনো প্রশাসনিক কর্মকর্তার টেকনাফের ইউএনওর এই ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এই উদ্যোগটা সংবাদকর্মীদের জন্য এক ধরনের স্বীকৃতি ও বটে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার ব্যক্তিগত( সম্মানী ভাতা) থেকে নিজ উদ্যোগে মাঠ পর্যায়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে পাঠকের কাছে খবর পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করা এমন ২৪জন সংবাদকর্মী এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় জর্জরিত বেহাল দশায় একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬জন শিক্ষককে সামান্য পরিমাণ সহযোগিতা করা হয়েছে ।