(ছবি::টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে গরু বিক্রির বাজার)
মোঃআলমগীর,টেকনাফ::মুসলিম বিশ্বেের ইতিহাসে কুরবানি যুগ থেকে যুগান্তরে ত্যাগের মাধ্যমে খোদার নৈকট্য লাভের এক উজ্জল দৃষ্টান্ত স্বরুপ।তাই ঈদুল ফিতর এবং তার প্রস্তুতি মুসলিম উম্মাহর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বের ও আনন্দের।আল্লাহ-ভীরু ধর্মপ্রান মুসলমানগন নীজ নীজ সাধ্য সামর্থ অনুযায়ী প্রত্যেক বছর কোরবানি দিয়ে থাকেন। ১২ আগষ্ট উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আয্হা তথা কোরবানীর ঈদ। এরইমধ্যে শুরু হয়েছে ঈদের পশু ও প্রয়োজনীয় কেনাকাটা। কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় স্থায়ী পশু হাটের পাশাপাশি অস্থায়ী গবাদিপশুর হাট। হাটগুলোতে পর্যাপ্ত পশুও উঠেছে। তবে বাজার জমজমাট হলেও জমে উঠেনি বেচা বিক্রি। সোমবার (৫ আগস্ট) বিকালে টেকনাফ সদরের হাতিয়ার ঘোনা ও দরগাহ ছড়ার অস্থায়ী বাজারে গিয়ে হাটগুলোতে পর্যাপ্ত গবাদিপশু দেখা গেলেও ক্রেতাদের তেমন চোখে পড়ছে না। আবার কোনও কোনও হাটে ক্রেতা ও পশু উভয়ই কম রয়েছে। কিন্তু যে পরিমাণ পশু রয়েছে, সে পরিমাণ ক্রেতা চোখে পড়েনি। দুপুর পেরিয়ে বিকাল ঘনিয়ে আসলেও একই চিত্র বিরাজ করছে।বিক্রেতারা পশু নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেও ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। টেকনাফ উপজেলার একাধিক পশু হাটের মধ্যে টেকনাফ পৌর শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ হচ্ছে বৃহৎ গবাদিপশুর হাট।
প্রতি বৃহস্পতি ও রবিবার সাপ্তাহিক গবাদিপশুর হাট বসে। কিন্তু উপজেলার বিভিন্ন গবাদিপশুর হাটে গত সোমবার থেকে বাজার শুরু হয়েছে। কয়েকজন ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ পশু উঠলেও এখনো বেচা-বিক্রি জমেনি। ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে বাজার পরিস্থিতি দেখছেন। কেউ কেউ আবার দর-দামও কষাকষি করছেন।
গতকাল(৫আগস্ট)টেকনাফ উপজেলার কয়কটি উল্লেখযোগ্য গরুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে অন্যান্য বছরের তূলনায় এই বছর কোরবানির গরু ক্রেতাদের তেমন উৎসাহ ও ঈদের উৎসবি আনন্দ পরিলক্ষিত হয়নি।তবে হাট বাজার সংশ্লিষ্ট অনেকে শেষ মুহুর্তে বেচা-বিক্রীর জমজমাট হবে বলে আশাবাদী।সাবরাংয়ের বিশিষ্ট গবাদিপশু ব্যবসায়ী নুর কামাল জানান, দেশীয় গরু-মহিষের পাশাপাশি রয়েছে মিয়ানমারের আমদানী করা গবাদি পশু। অন্যান্য বারের চেয়ে চলতি বছর গবাদিপশুর মুল্য অনেকাংশে কম হলেও শেষের দিকে কিনার দিকে বেশিরভাগ মানুষের ঝোঁক।
গত রবিবার (৪ আগষ্ট) টেকনাফ পাইলট উচ্ছ বিদ্যালয় মাঠে পশুর হাটে গরু কিনতে যাওয়া সাবরাং এলাকার হাফেজ জানে আলমের সাথে কথা বলে তিনি জানান, এবারের বাজারে অন্যান্য বারের মত বড় গরু-মহিষের সংখ্যা বেশি রয়েছে। তবে ছোট ও মাঝারি গরুর সংখ্যা তুলনামূলক হারে অনেক কম দেখা যায়। তিনি আরো বলেন, এখনো শুরুর দিকে, তাই ব্যবসায়ীরা দাম হাঁকিয়ে বসে আছেন। আশাকরি পরের বাজারে দাম স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এছাড়া বাজারে স্থানীয় পশুর পাশাপাশি মিয়ানমারের গবাদি পশুর সয়লাব দেখা যাচ্ছে। গত কয়েকদিনে ১২/১৪ হাজার গবাদি পশু আমদানী হয়েছে বলে সুত্রে জানায়। এতে প্রায় ২৭ লক্ষাধিক রাজস্ব আয় হয়েছে।
টেকনাফের শুল্ক কর্মকর্তা মোঃ ময়েজ উদ্দীন বলেন, মিয়ানমার হতে শাহপরীর দ্বপি করিডোর দিয়ে পশু আমদানী করে রাজস্ব আয়ে ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। এ স্থলবন্দর থেকে সদ্য সমাপ্ত জুলাই মাসে ১৪কোটি ৭০ লাখ ১২হাজার টাকা রাজস্ব আয় করা সম্ভব হয়েছে। ব্যবসায়ীরা আন্তরিক হলে পশু আমদানিতে রাজস্ব আয় আরো বাড়বে। পশু আমদানী বাড়াতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।
টেকনাফে মূলত কয়েক শ্রেণীর ক্রেতা আছে,যেমন যারা প্রবাসী পরিবার তাদের এবং স্থানীয় ভাবে ব্যবসা করা পরিবারের ধরণ পারিবারিক ভাবে একটু ভিন্ন।সব মিলিয়ে এখনও গরুর বাজার জমে উঠেনি।সবার ধারণা শেষের বাজার গুলো জমবে এবং ব্যবসায়িরা তাদের কাঙ্ক্ষিত মুনাফা লাভে সক্ষম হবেন।