আরাফাত সানি
টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জওয়ানরা ২ লক্ষ ৬০ হাজার পিস মালিকবিহীন ইয়াবা উদ্ধার করেছে। এসময় পাচারকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করতে পারেনি।
২৭ জানুয়ারী সোমবার দিনগত রাত সাড়ে ৭টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নাফ নদীর কিনারা থেকে মালিকবিহীন ইয়াবা গুলো উদ্ধার করা হয়।
এবিষয়ে মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে টেকনাফ বিজিবি ২ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফয়সল হাসান খান জানান, মিয়ানমারের লালদ্বীপ এলাকা হতে ৩ জন রোহিঙ্গা ইয়াবা পাচারকারী নাফ নদী সাঁতরে কূলে উঠতে দেখলে টহলরত বিজিবি সদস্যদের সন্দেহ হয়। এসময় তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে ৩টি বস্তা ফেলে পালিয়ে যায়। পরে বস্তার ভেতর হতে ২লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, টেকনাফে র্যাব বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৭০ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করেছে। আটকৃতরা হলেন, চট্টগ্রাম লোহাগাড়া পূর্ব কলাউজান এলাকার কবির আহমেদের ছেলে মো. জাকারিয়া(৩৫)ও টেকনাফ পৌরসভা জালিয়া পাড়া এলাকার আলী জোহারের ছেলে আব্দুল হক(৩৩)।
র্যাব-১৫ টেকনাফ কমান্ডার লে. মির্জা শাহেদ মাহতাব(এক্স)বিএন বলেন, মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকাল
৫ টায় র্যাবের একটিদল টেকনাফ পৌরসভা উপরের বাজার বার্মিজ মার্টেক সংলগ্ন আফিফা আলম হিমু মার্কেট এর আক্তারের কাপড়ের দোকানের ভেতর একটি ইয়াবার চালান মজুদ রয়েছে। উক্ত সংবাদে দোকানে অভিযান পরিচালনা করে ৭০ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। যার ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা বলে জানায়।
তিনি আরো বলেন, টেকনাফ উপরের বাজারের দোকান মালিক আক্তার কাপড়ের ব্যবসার আড়ালে র্দীঘদিন যাবত ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ সিন্ডিকেটকে ধরতে র্যাব কাজ করে আসছিল। অবশেষে ব্যাবের জালে ধরা পড়েন। আটক দুজনকে মাদক আইনের মামলা রুজু করে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, সাতকানিয়া কেন্দ্রিক একটি সেন্ডিকেট দোকান ব্যবসার আড়ালে প্রসাশনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মরণ নেশা ইয়াবা ব্যবসায় চালিয়ে আসছিলেন। এ সিন্ডেকেটে কারা জড়িত বের করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
আন্দোলন৭১/ আরাফাত সানী