সম্পাদনাঃ-
মিজানুর রহমান মিজান।টেকনাফ ৩০জানুয়ারী২০১৯ইং।
আমাদের দেশে নানা ধরণের,নানা রঙের শাক-সবজি রয়েছে।শাক-সবজির রঙের উপরও পুষ্টি নির্ভর করে।
যেমন:লাল রঙের শাক-সবজি।
লাইকোপেন নামক শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায় লাল রঙের ফল ও সবজিতে,যা যেমন ক্যানসার প্রতিরোধক তেমনি স্বাস্থ্যকরও।এছাড়া অ্যান্থোসায়ানিন নামক বিদ্যমান ওপর এক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।লাল রঙের খাবারে ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘সি’ থাকে প্রচুর পরিমাণে। এটি হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। রয়েছে উচ্চমানের ভিটামিন, মিনারেল, কার্বোহাইড্রেট, চর্বি ও প্রোটিন; যা শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে।
এবার আসি লাল রঙের কিছু শাক-সবজিতে কি কি গুণাগুণ থাকে-
*টমেটো:ক্যানসার কোষ বিনষ্টকারী প্রাকৃতিক অ্যানটি-অক্সিডেনট এর প্রাকৃতিক উৎস হল টমেটো। টমেটোতে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনকে, যা দেহের হাড় মজবুত করে এবং ভাঙ্গা হাড়কে জোড়া লাগায়,টমেটো একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়,হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে,চুল পড়া কমায়,ওজন কমায়,দেহের ত্বককে ক্ষতিকর সূর্যরশ্মি, তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে রক্ষা করতে পারে এই টমেটো।
* লাল মরিচ: ভিটামিন সি -তে সমৃদ্ধ লাল মরিচ রক্ত চলাচলে সহায়তা করে,রক্ত তরল করে,হজমে সাহায্য করে,মেদ কমাতে সাহায্য করে।তবে উচ্চ রক্তচাপে এটি বেশি না খাওয়াই ভাল।
* বিট:অ্যামিনো এসিড,ভিটামিন-এ,বি,সি, মিনারেল,আয়রনসমৃদ্ধ।এটি রক্তের লাল কণিকা বৃদ্ধি করে,পলিফেনল নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে,লিভার ঠিক রাখে,মাংসপেশীতে অক্সিজেন ও স্ট্যামিনা বাড়ায়।
* লাল ক্যাপসিকাম:লাল রঙের খাবার ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘সি’ থাকে প্রচুর পরিমাণে। এটি হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়,রোগ সংক্রমণ কমায়।সবুজ ক্যাপসিকামের তুলনায় এতে ১১ গুণ বেশি বিটা ক্যারোটিন, দেড় গুণ বেশি ভিটামিন-সি ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন-এ রয়েছে।
* স্ট্রবেরী:বিদ্যমান অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বাত রোগ থেকে দেহের দূরে রাখে,রুচি বাড়ায়,মনোযোগ ঠিক রাখে,ক্যালসিয়াম-ম্যাগনেশিয়াম দাঁতের জন্য ভাল।
* চেরি:এর রস ঘুমের ওষুধ হিসেবে কাজ করে।রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা কমায়,চেরিতে থাকা মিলাটোনিন নামক উপাদান দেহের রক্ত চলাচলে সহায়তা করে।
* লাল মুলা:এটি ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড ও ফ্লাভোনয়েডসের ভালো উৎস।যকৃৎ সুরক্ষা করে,ত্বক সজীব রাখে,রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
* লাল শাক:ভিটামিন -এ থাকাত রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে,বিদ্যমান ভিটামিন-সি স্কার্ভির ঝুঁকি কমায়,দাঁতের সুস্থতা, হাঁড় গঠন, গর্ভবতী এবং প্রসূতি মায়েদের দৈনিক ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণে এই শাক উপকারী।লালশাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার বা আঁশ থাকে, যা হজমে সাহায্য করে ফলে স্বাভাবিকভাবেই বদ-হজমের আশঙ্কা কমে।রক্তশূণ্যতা দূর করে।