ইমাউল হক পিপিএম
ভোর রাত্রে খাবার সময় গলায় কাটা বিঁধলে, বুঝতে পারলাম হারাধনের কিছু একটা হল। আগে একটা বনে ,,,,, তাড়াতে গিয়ে ,,, । তারপর একটা,,,,, ঘরে ,,,,,,, রাখতে গিয়ে,,,,,।তারপর হাসপাতালে র পাতাল রক্ষায় ,,,।আজ তত্বাবধানে র তথ্য ও তত্তের দত্তক হয়ে দর দামে ব্যর্থ হয়ে ধরা ধাম ত্যাগ করলেন পাবনার ভাংগুরা থানার কাজী টুলা গ্রামের এস আই নাজির।
জাতীর চার সুযোগ্য, না সাহসী না বীরত্বে ভরা বীর,না মানবতায় ভরা শির, কোন টা বলব? শোক বলে বলীয়ান তো তাই বুঝতে পারছি। তবে ক্ষুদ্র জ্ঞানে বলতে পারি “শহীদ ” আর তার মর্যাদা দান করুন মহান আল্লাহ্।
নাজিরের বাড়ী আমার বাড়ী থেকে দশ কিলো।জসীসের ছেলে বাবা চকলেট নিয়ে বাড়ী আসবে বলে অপেক্ষা করেছিল।
নাজিরের ছেলে মেয়ে হয়ত ইফতারীর অপেক্ষা য় বসে আছে।স্ত্রী হয়ত ততক্ষণে সাদা শাড়ি পড়ে মূর্ছা। বৃদ্ধ পিতার ঘারে বীর সন্তানের লাশের বোঝ যেন পৃথিবীর সম ওজন ।
ঐতিহাসিক পাবনার ভাংগুরা র সাধারণ মানুষের ভাগ্য হবে না তাদের শিশু নাজিরের ফিরে যাবার যাত্রা য় যাত্রী হওয়া।নাজির কে আর এস বি’র রিপোর্ট নিয়ে দৌড়াতে হবে না ।জাতীকে রক্ষা দিতে প্ররক্ষা বিভাগ তো দৃরে থাক এহকাল থেকে ছুটি পেয়ে গেল।তার যাত্রা বড়াল ব্রীজের পাশে ই কোন কবর পর্যন্ত।
ছেলেকে হয়ত বলতে হবে না গত ঈদে ছুটি পাইনি পালা মতে এ ঈদে ছুটি আসব।স্ত্রীকে বড়াল ব্রীজের বড়াল নদীর তীরে লাল শাড়ি পড়ে পদ্মা ট্রেনের আগমনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।কিন্তু! এর কোন উত্তর নেই !রক্তের রক্ত হয়ত এক নজর দেখতেও পারবে না।নাজিরের কবর যাত্রা য় আপন কেউ হয়ত যেতেও পারবে না।দফায় দফায় চেপে চেপে কান্না র শব্দ ও প্রকাশ করা কঠিন!
মৃত্যু হবেই।তাই বলে ,,,,?ক্রন্দন রোল আকাশে বাতাসে যেতে দেবে না।নাজির জসিম আশিক শাহজাহান তো ছিল আমাদের ফোর্স মানে শক্তি, ভিত্তি। কিভাবে দিনে দিনে কমছে ! ঐ বিদেশ থেকে যদি,,,,,, না আসত?যদি এসেও ,,,,,, ,ঘরে থাকত ?যদি ,,,,,, ছুটি তে ,,,,,না যেত ?যদি ঐ ,,,,,, গুলো রাষ্ট্রীয় আইন মেনে চলত।
তাহলে হয়ত নাজির দের মৃত্যু হতো হয়ত আনন্দের ।স্বাভাবিক মৃত্যু। একে একে চার জন ।শহীদ দের এ মৃত্যু শোকে আমারা হয়ত শক্তি পেলাম।কিন্তু যার গেলো তার তো পুরো টাই গেল ।
শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।