ডেইলি টেকনাফ ডেস্ক ::
কর্মক্ষেত্রে বঞ্চনার বিরুদ্ধে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের অনন্য সংগ্রামের দিন আজ।করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিধ্বস্ত পৃথিবীতে আজ পালিত হচ্ছে মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৩৩ বছর ধরে বিশ্বজুড়ে পালিত হয়ে আসছে দিনটি। তবে এবারের প্রেক্ষাপট একেবারেই ভিন্ন।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণে গোটা দুনিয়া এখন টালমাটাল। বিশ্বের কোটি কোটি শ্রমজীবী মানুষ কাজ হারিয়ে অনাহার-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন।
শ্রমিকের অধিকার আদায়ের ঐতিহাসিক দিন ‘মহান মে দিবসে টেকনাফ উপজেলার সাবরাংবাসীসহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নুর হোসেন চেয়ারম্যান বিএ।
এক বার্তায় তিনি বলেন-
শ্রমজীবী মানুষের আন্দোলন-সংগ্রামে অনুপ্রেরণার উৎস এই দিবসটি মালিক-শ্রমিক সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠারও দিন। শ্রমিকদের শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটারও দিন এটি।
প্রতি বছর নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে দিনটি পালিত হলেও এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে এ বছর সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা বাতিল করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, সোনার বাংলা গড়ে তুলি’— এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ সারাদেশে শুক্রবার (১ মে) পালিত হচ্ছে মহান মে দিবস।
সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের শ্রমজীবী মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান নুর হোসেন চেয়ারম্যান বিএ। একইসঙ্গে ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য নিজ এলাকাসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
করোনা পরিস্থিতে জনসমাগম, সভা, সেমিনার এড়িয়ে চলার এবং নিজেকে এবং পরিবারের সবাইকে সুস্থ রাখতে ঘরে অবস্থান করার আহ্বান জানান তিনি।
১৮৮৬ সালের ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকেরা শ্রমের উপযুক্ত মূল্য এবং দৈনিক অনধিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশ গুলি চালায়। এতে অনেক শ্রমিক হতাহত হন। তাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে দৈনিক কাজের সময় আট ঘণ্টা নির্ধারণ হয়। এরপর থেকে দিনটি ‘মে দিবস’ হিসেবে পালন হয়ে আসছে।