মিজানুর রহমান মিজান
সেবাই ধর্ম,সেটা যদি হয় সূষ্টির সেরা মানবসেবা, নিঃশ্বন্দেহে সৃষ্টিকর্তার কাছে হবে অত্যাধিক পছন্দের এবং আনুগত্যের।
আবেগ অনুভূতি, ভালোলাগা মন্দলাগা,প্রেম ভালোবাসা,মনুষ্যত্ব নিয়েই গড়া সৃষ্টির সেরা মানুষ।শৃংখলা,শাস্তি,নিরাপত্তা ও জনগনের সেবক হওয়ার অঙ্গীকারে বলিয়ান, প্রিয় মাতৃভূমির অতন্ত প্রহরী দেশ প্রেমিক পুলিশও সবার মতো মানুষ।
সে মানুষটা যখন জনগনের প্রকৃত সেবক হয় তাহলে একটি সমাজ ও দেশের জন্য বিরাট গৌরবের।সেটা প্রমান করলেন টেকনাফ মডেল থানার কন্সসটেবল শরিফুল ইসলাম।
তিনি পেশাগত দায়িত্বের সীমানা পেরিয়ে চলমান করোনা ভাইরাস নামক ভয়াবহ বিপদে জাতীর ক্রান্তিকালে গৃহবন্ধি মানুষের মৌলিক চাহিদা পুরণে এগিয়ে এসে মানুষ মানুষের জন্য,জীবন জীবনের জন্য এই শব্দগুলোর যথার্ত বাস্তবায়ন করেছেন এবং নিজেও হয়েছেন অসহায় জনগুষ্ঠির কাছে প্রশংসিত।
টেকনাফ পৌরসভায় লকডাউনে থাকা অসহায় দরিদ্র জনসাধারণের মধ্যে ১০ টাকায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে মানুষ হয়ে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন কনস্টেবল শরীফুল ইসলাম।
গতকাল রবিবার ২৯ মার্চ দুপুর থেকে টেকনাফ পৌর এলাকায় করোনা মোকাবেলায় সরকারের নির্দেশে বাড়িতে অবস্থান করা অসহায় মানুষের জন্য নিজস্ব তহবিল হতে চাল, ডাল, তৈল, আলু, পেয়াজ, সাবান, ডিটারজেন্টসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সমন্বয়ে তৈরীকৃত পুটলা মাত্র ১০ টাকায় বিতরন করেন।
এক সাধারণ কনস্টেবলের এই ধরনের মানবীয় উদ্যোগে অনেক দরিদ্র মানুষের মনে জায়গা করতে সক্ষম হন,অনেকে আবেগাপ্লোত হয়ে পড়েন।
পুলিশ নিয়ে টেকনাফের সাধারণ মানুষের মধ্যে নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা ও আতংক থাকলেও কনস্টেবল শরিফুল ইসলামের ১০ টাকায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।এতে করে সবার মাঝে পুলিশের প্রতি সুস্থও ইতিবাচক চেতনার উদয় হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।
অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সারাদেশে লকডাউনের কারণে সাধারণ মানুষের সার্বিক অবস্থা দেখে আমি খুবই মর্মাহত। তাই একজন মানুষ হয়ে নিজের বোধ থেকে বিপদগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে,তাদের ছেলে বা ভাই হিসেবে পাশে থাকতে চেষ্টা করেছি কেউ যাতে অনুদান মনে না করে তাই ১০ টাকায় চাল, ডাল, তৈল, আলু, পেয়াজ, সাবান, ডিটারজেন্টসহ নিত্যপণ্য সরবরাহ করছি। এতে আমার গৌরবের কিছু নেই।সৃষ্টিকর্তা আমাকে এই মহৎ কাজের যোগ্য করেছেন তাই তার দরবারে অজস্র কৃতজ্ঞা ও শোকরিয়া।