লন্ড ভন্ড মনুষ্যত্ব….
ইমাউল হক পিপিএম|
বেলা গেল,হাস মুরগি ঘরে তোল,দাদীকে ঔষধ দাও।ঔষধ খেলে ওসুখ সারে।
কি ঔষধ দিব বলেন?রোগের অবস্থা ই কেউ ভাল করে বলতে পারে না ।আর তার ঔষধ ই তো নাই!
তাহলে কি খাবে ?ঘরে থেকে খাবার খাবে।কিন্তু সে খাবার ও তো চুরি হয়ে যাচ্ছে।
তাহলে কি করবে ?করোনায় ডাক্তারের কাছে যাবে?আরে ভাই ডাক্তার ই তো সমানে মরছে!
তাহলে আর কি করবে ? মরবে ! মরলে তো কবর দেয় না কেউ? রাস্তায় ফেলে ।
মানুষের মধ্যে কোন শিক্ষা ই কাজ করছে না।সবই লন্ড ভন্ড। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঠিক নির্দেশনা ও সাহায্য এক মাত্র ভরসা সেটা ও মানাতে হিমসিম!!
১) জলে কুমির ডাংগা য় বাঘ!
পাবনা য় চার চোর ধরছে আবার বাউফলে নদী পথে ,আবার কোন স্হানে পুকুরে ,ও ঘরের মধ্যে “রোপন” করা চাল উদ্ধার করে জড়িতদের বরখাস্ত করেছে। জলে ও স্থলে চোর দের ভেল্কি ও কেরামতি ধরা পড়ে গেল।কেরমতি এক ধরনের মেরামতি,প্রথম করেছিল হীরামোতি “”কত কেরামতি জান রে মাওলা কত কেরামতি জান, বাউফলে জাল ফালালাই চালের বস্তা ধর”
☆ সহযোদ্ধার সহমরন
দেখে দেখে যিনি করোনার চিকিত্সা দিলেন তিনিই আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। নিশ্বাস নিতে ঢাকায় এসে ও হল না।স্ত্রী সন্তানদের অ রক্ষিত রেখে চলে গেলেন।রোগী বাঁচাতে দেশে এই প্রথম হয়ত শহীদ হলেন সিলেটের ডাক্তার মইনুদ্দিন ।শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি কিন্তু যার গেল তার তো পুরো টাই গেল।মনটা খুবই খারাপ। নগর পুড়লে দেবালয় কি এড়াতে পারে?
☆পিতৃত্বের কাছে ভাইরাসের পরাজয়:
সুনামগঞ্জে সম্রাট শাহজাহানের কথাই সত্যি হল।পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ পৃথিবীর ওজনের চেয়ে ও ভারী ওজন। গ্রামবাসী এমন দুরত্ব ই বজায় রেখেছে যে ভয়ে খাটিয়া দেয়নি।সম্রাট আকবর অবশ্য ছেলের রোগ বিনিময় করে পিতৃত্বকে বাঁচিয়েছিলেন।কিন্তু তার পর ই হয়ত এই পিতা।
আবার আক্রান্ত মাকে ছেলেরা ঠিক ই জংগলে দিয়েছে , বাবার লাশ ও ছেলের কাঁধে দেখতে পারলে মনকে বুঝতে পারতাম। কিন্তু সে লাশ উঠেছে পুলিশের কাঁধে।
রহিমা বিবি(রা) আইয়ুব(আঃ) নবীকে ছেড়ে যান নি।লক্ষীনদ্বারের ভেলায় বেহুলা ভেসেছিল ঠিকই। কে কি করছে সব ফুটে উঠছে।সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে আত্মীক দুরত্ব বজায় রাখছে।সবাই দুরে দুরে চলছ।হয়ত অনেকেই দুর হয়ে ও যাবে।
☆ পিয়াজ বিক্রি করে করোনা কেনা
চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী। গুরুজনের কথা না শুনলে লম্বা চুল ব্যাক্তি বিপদে পরে।প্রথম দিন 35 টাকার পেঁয়াজ 55 টাকা দিয়ে ক্রেতা বলে আসল দোকানদার কে ,””করোনা আপনার ও হতে পারে”:
পরের দিনই 85 টাকা চাওয়া হাতা হাতি ।এর পর দোকান বন্ধ কারন করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে। আসলে কার কি হয় কে জানে
আল্লাহ্ র শাস্তি অনেক কঠিন ও দৃষ্টান্তমূলক।
আমরা ব্যবসা করতে গেল বুঝি না যে ডাক্তারের নিকট পেঁয়াজ 120 টাকা নিলে ,কয়েক দিন পর 1200 টাকা vizit দিয়ে আসতে হবে।
☆ জাত গেল জাত গেল বলে আজব কারখানা!
সময় তো আর নেই ।এ সময় ই তো মানুষের পা কেটে সে টা নিয়ে রক্তের খেলা খেলতে হবে।এ সময় ই জমি জমা ধন- জন ,নাম ধাম বাবুয়ানা র কাপড় উড়াতে হবে ।মিছিল মিটিং আর দেনা পাওনার দরবার তো এখনই দরকার তা না হলে জাতি র যে জাত কূল মান রক্ষা হবে না।
সারা পৃথিবীতে যে রোগের কোন ঔষধ নেই।সেই রোগের সুযোগে পেটের খাবার বস্তায় ,রান্না র খাবার গহনার দামে লুটে নিলে তাদের লাশের অবস্থা কেমন হবে তা বলাই বাহুল্য।মূল্য মানে ঘরে থাকবেন না ঝরে যাবেন এ সিদ্ধান্ত আপনার।