ডেস্ক নিউজ::প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশ সব সম্ভাবনা হারিয়ে ফেলে এবং ১৫ আগস্টের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ব্যর্থ করে দেওয়া হয়। এর ফলে পারিবারিকভাবে আমরা সব কিছু হারিয়ে ফেলি, কিন্তু বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে সব সম্ভাবনা।’
গতকাল বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডন থেকে টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ কৃষক লীগের রক্তদান কর্মসূচি ও বৃক্ষরোপণ অভিযান উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য একটি কালো দিন। এদিনে ব্যক্তিগতভাবে আমি ও শেখ রেহানা বাবা-মা ও ভাইসহ সবকিছুই হারিয়েছি। এছাড়া ১৫ আগস্ট আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে বিপর্যয় নিয়ে আসে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের জন্যও বিপর্যয় নেমে আসে।’
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী দুস্থ মানুষের সেবা করার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘তাদের সেবা করা প্রতিটি ব্যক্তির দায়িত্ব।’ বঙ্গবন্ধুর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘বড় অর্জনের জন্য বড় ত্যাগ প্রয়োজন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে দেশ স্বাধীন করেন।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জনগণকে দরিদ্রমুক্ত করতে চেয়েছিলেন, যাতে তারা উন্নত জীবন লাভ করে, সুন্দরভাবে বাঁচতে এবং মাথা উঁচু করে চলতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তিনিও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ এবং সবকিছু ত্যাগ করে দেশবাসীর সেবা করে যাচ্ছেন।’ তিনি বলেন, ‘ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে আমি জনগণের দোয়া কামনা করছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে। তাদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবো। আমরা দারিদ্র্যকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে এনেছি এবং এটি আরও হ্রাস করবো।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আমরা জাতির পিতার লক্ষ্য, চিন্তা-চেতনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণ বিচার করবে আমরা কী করছি, আর কী করতে পারিনি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ ও জনগণের জন্য বঙ্গবন্ধু রক্ত দিয়েছেন। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা তার রক্তের ঋণ শোধ করবো।’