হায়রে মৃত্যুঃ সাইফুল ইসলাম।।
গত পরশু বাজারে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে দেখা হল আমাদের এলাকার মুরব্বি চাচা মোঃ খুলুর সাথে। আমার মুখে মাস্ক দেখে প্রথমে বললেন, একটু দাঁড়া।তারপর বললেন, এই মাস্ক ব্যবহার করলে কী তুই আল্লাহর দেয়া মৃত্যু থেকে রক্ষা পাবি?আমি উত্তরে বললাম না চাচা। আবার বললাম,বাজারে যাচ্ছি ধুলাবালি ও নিরাপত্তার স্বার্থে একটু ব্যবহার করছি। চাচা বললেন আল্লাহর বিশ্বাস রাখবি সবসময়। আমি বললাম,আল্লাহর উপর বিশ্বাস নিয়েই তাঁর পৃথিবীতে সুন্দরভাবে বেঁচে আছি চাচা। দোয়া করবেব এই বলেই বাজারের দিকে চললাম।
আজ দুপুরে জুমার নামাজ পড়ে বাবার খবর জিয়ারত শেষে বাড়িতে পৌছে খাওয়া দাওয়া করে একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। এমন সময় বড় ভাই ফোন দিয়ে বলল,খুলু চাচা নাকি মারা গেছে! আমি বললাম নাতো। কারণ আমি বাবার কবর জিয়ারত করে আসার সময় খুলু চাচার বাসায় কোন কান্না বা শোর চিৎকার শুনিনি।
তিন মিনিট পর টেকনাফ বার্মিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবীব উল্লাহ স্যার আমাকে ফোন দিয়ে জানাল খুলু চাচার মৃত্যুর খবর। শুনে অবাক হলাম। মনে মনে বললাম,হায়রে মৃত্যু। কোন ভাবে নিজের মনকে বুঝাতে পারছিলাম না।
আছরের নামাজ পরে পাড়ার এক প্রতিবেশীকে দেখতে গেলাম।
প্রাণহীন নিথর দেহে পড়ে আছেন খুলু চাচা। পাশে বসে আছেন পাড়ার মুরব্বি সমাজ ও স্বজনরা। চেহেরাটা দেখে মনে মনে কলমা পড়লাম এবং মহান আল্লাহর কাছে মরহুমের জন্য প্রাণ খুলে দোয়া করলাম। পাশাপাশি আমার মরহুম বাবার জন্যও দোয়া করলাম।
এলাকার একজন মুরব্বি বলল সে গত কালকেও আমার সাথে কথা বলেছে । আমি মুরব্বিকে বললাম চাচা উপর ওয়ালা ত ডাক দিয়েছেন। অবশ্যই তাঁর ডাকে আমাকে,আপনাকে ও সবাইকে যেতে হবে চিরস্থায়ী ঘরে।
প্রেরকঃ সাইফুল ইসলাম,সহকারী শিক্ষক।